পালমিরা হামলার দুই সপ্তাহে আইএসের নেতা গ্রেপ্তার

সিরিয়ার দামেস্ক অঞ্চলে এক যৌথ অভিযান চালিয়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর এক জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযানে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছে। বুধবার দেশটির একটি নিরাপত্তা সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া আইএস নেতার নাম ত্বহা আল-জুবি, যিনি আবু উমর তাবিয়া নামেও পরিচিত। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন অনুসারীও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাঁর গ্রেপ্তারের ঘটনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ১৩ ডিসেম্বর সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর পালমিরায় সংঘটিত ভয়ঙ্কর হামলার দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘটল। ওই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক বেসামরিক মার্কিন নাগরিক নিহত হন। এক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এই হামলার জবাবে ২০ ডিসেম্বর মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত পাঁচ আইএস সদস্য নিহত হয়েছেন।

সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পালমিরার হামলাকারী মূলত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মী ছিলেন, যিনি ‘চরমপন্থী মতাদর্শের’ কারণে চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রক্রিয়ায় ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সূত্র জানায়, বাশার আল-আসাদের শাসনকাল পরবর্তী সময়ে পালমিরায় এটি ছিল প্রথম বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা।

নিম্নের টেবিলে এই ঘটনার মূল তথ্য সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

তারিখঘটনামৃত্যুর সংখ্যাসংশ্লিষ্ট পক্ষ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫পালমিরায় আইএস হামলা৩ (২ মার্কিন সেনা, ১ বেসামরিক)আইএস, মার্কিন নাগরিক
২০ ডিসেম্বর ২০২৫মার্কিন বিমান হামলা৫ আইএস সদস্যমার্কিন সেনা, আইএস
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ত্বহা আল-জুবি (আবু উমর তাবিয়া) গ্রেপ্তারগ্রেপ্তার করা হয়েছেসিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট

সিরিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ত্বহা আল-জুবির গ্রেপ্তার ‘পালমিরা হামলার নেপথ্যের পরিকল্পনা ও দায়িত্ব শনাক্তে’ গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তিনি আইএস-এর মধ্যমহলের কৌশলগত নেতা হিসেবে পরিচিত, যিনি সংগঠনের সামরিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মূল ভূমিকা পালন করে আসছিলেন।

এভাবে, সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও আন্তর্জাতিক জোটের যৌথ প্রচেষ্টা আইএসের কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।