পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে থমকে গেছে বাংলাদেশ দল

গ্রুপ পর্বে ধারাবাহিক তিন জয় তুলে সেমিফাইনালে পৌঁছানো বাংলাদেশকে আজ যেন পুরোপুরি অচেনা দেখা গেল। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বে দলের ব্যাটিং পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল। বলের লাইন ও দৈর্ঘ্য বুঝে খেলতে না পারার কারণে বেশির ভাগ উইকেট দ্রুত হারায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ সেমিফাইনাল। তবে দুবাইয়ের সকাল সাতটায় বৃষ্টির কারণে খেলা শুরুতে বিলম্ব হয়। অবশেষে বিকেল ৩টায় ম্যাচ শুরু হয় এবং দৈর্ঘ্য কমিয়ে ২৭ ওভারে আনা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ নির্ধারিত ওভার খেলতে না পারেই ১২১ রানে গুটিয়ে যায়।

পাকিস্তানের ধারাবাহিক নিয়ন্ত্রিত বোলিংতে মাত্র ৫.১ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ২৪ রানে পৌঁছায়। দুই ওপেনারই দ্রুত ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৪ রান করেন। তার ওপেনিং সঙ্গী জাওয়াদ আবরার যোগ করেন ৯ রান। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তারা ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়ে, যা ভাঙেন আব্দুল সুবহান ১৩তম ওভারের প্রথম বলে। তামিম ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন।

তামিমের আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। বড় শট খেলতে গিয়ে আবরার ও শেখ পারভেজ জীবন আকাশে তুলে দেন বল, যা পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সহজে ক্যাচে পরিণত করেন। ২৬.৩ ওভারে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১২১ রানে। ইনিংসের সর্বোচ্চ রান আসে সামিউন বশির রাতুলের ব্যাট থেকে, ৩৭ বল খেলে ৩৩ রান, একটি চার ও একটি ছক্কা সহ।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে ৪ উইকেট নেন, একটি মেডেনসহ। হুজাইফা ২ উইকেট নেন, এবং মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা একটি করে উইকেট সংগ্রহ করেন। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রান-আউট হওয়ায় বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়। এই খেলায় বাংলাদেশের এলোমেলো ব্যাটিং এবং অপরিকল্পিত শট নির্বাচনের কারণে তারা সেমিফাইনালে বড় ধাক্কা খায়।