মেসির স্মৃতিময় লুসাইলে ফাইনালিসিমা লড়াই

২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ী হয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায়। সেই ম্যাচের স্মৃতিবিজড়িত লুসাইল স্টেডিয়ামে এবার ফের পা রাখবেন লিওনেল মেসি। ২০২৬ সালের ফাইনালিসিমার মঞ্চে আর্জেন্টিনার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকছে ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন, যার নেতৃত্বে থাকবেন উজ্জ্বল প্রতিভাধর লামিন ইয়ামাল।

ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটি হবে দুই মহাদেশের শীর্ষ চ্যাম্পিয়নদের মেগা লড়াই। স্পেন ২০২৪ ইউরো জয়ী হয়ে তাদের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রভাব দেখিয়েছে, আর আর্জেন্টিনা একই সময়ে কোপা আমেরিকা জিতেছিল। উয়েফা বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে, এই প্রতিযোগিতা হবে দুই চ্যাম্পিয়নের সম্মিলিত লড়াই। উয়েফা ও কনমেবল ২০২১ সালে ফাইনালিসিমা পুনরায় চালু করেছিল, যেখানে দুই বছর পরপর বিশ্বকাপের প্রভাব বিবেচনা করে আয়োজনের সময় নির্ধারণ করা হয়।

২০২২ সালের ফাইনালিসিমায় আর্জেন্টিনা ইতালিকে ৩-০ গোলে পরাজিত করেছিল, এবং সেই ম্যাচের নায়ক ছিলেন লিওনেল মেসি। এবারও আর্জেন্টিনা ফিরছে ফাইনালিসিমায়, আবারও লুসাইল স্টেডিয়ামে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ২৭ মার্চ। স্থানীয় সময় খেলা শুরু হবে রাত ৯টায়, যা বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হবে।

উভয় দলের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার হিসাব ফুটবল অনুরাগীদের জন্য আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্পেন ও আর্জেন্টিনা এ পর্যন্ত ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে উভয় দলই ছয়টি করে জয় পেয়ে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রমাণ রেখেছে। সর্বশেষ মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চে, তখন আর্জেন্টিনা স্পেনের কাছে ৬-১ গোলে হেরেছিল। সেই ম্যাচে মেসি খেলেননি। এর আগে তার ক্যারিয়ারে তিনবার স্পেনের মুখোমুখি হয়েছেন মেসি, যেখানে একটি জয় এবং দুটি পরাজয় ছিল।

ফুটবলবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, লুসাইল স্টেডিয়ামের এই ফাইনালিসিমা কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং মেসির ব্যক্তিগত কীর্তি ও ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত একটি নাটকীয় মুহূর্ত। বিশ্বজুড়ে সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই উত্তেজনায় এবং আশা-উদ্দীপনায় ভরপুর, আর মাঠের উত্তেজনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে।