নাইমুর রহমান দুর্জয় | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

নাইমুর রহমান দুর্জয় (জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি অফব্রেক স্পিনার। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদের দুইবারের সাবেক সদস্য।

নাইমুর রহমান দুর্জয় | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

নাইমুর রহমান দুর্জয়

 

জন্ম

নাইমুর রহমান দুর্জয় ১৯৭৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার। বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম অধ্যক্ষ সায়েদুর রহমান এবং মাতা নীনা রহমান।

কর্মজীবন

বাংলাদেশ জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। ডাক নাম দুর্জয়। তিনি ৮ টি টেস্ট ও ২৯ টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেন। ২০০০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচে তার অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসন এর প্রেসিডেন্ট এবং তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচক ও পরিচালক। তার বাবা অধ্যক্ষ সায়েদুর রহমান মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য। তার মা মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের ২৩ বছর সভাপতিত্ব করেন। তিনি খুব জনপ্রিয় একজন সফল নেতা । বিশেষ করে তিনি সাধারণ ছাত্র ও ছাত্রদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় !

ব্যক্তিগত জীবন

নাইমুর রহমান দুর্জয় ঘিওর উপজেলার হ্যাপী রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

 

নাইমুর রহমান দুর্জয় । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

 

নাইমুর রহমান দুর্জয়

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment