ঢাকা মেডিকেল কলেজে আল-আরাফাহ ব্যাংকের অনুদান

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী ব্যাংক আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ব্যাংকটি ঢাকার জাতীয় মেডিকেল কলেজকে উদারভাবে আট লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছে, যার লক্ষ্য কলেজের চিকিৎসা সুবিধা উন্নত করা এবং রোগীদের জন্য উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুদানটি বিশেষভাবে ইউরোলজি বিভাগে আধুনিক সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ও ডেন্টাল ইউনিটে উন্নতমানের দাঁতের চেয়ার সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগগুলি রোগী সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদানে সহায়ক হবে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষামূলক ও স্বাস্থ্যসেবা উভয় দিকের সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হবে।

অনুদান হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ঢাকার জাতীয় মেডিকেল কলেজে। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনাব মোহাম্মদ রাফাত উল্লাহ খান ব্যক্তিগতভাবে চেকটি কলেজের প্রিন্সিপাল, অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে প্রদান করেন। তার বক্তব্যে ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণমূলক উদ্যোগে ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এছাড়া তিনি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে সরকারি স্বাস্থ্যখাতকে সহায়তা করতে পারে, তাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে কলেজ ও ব্যাংকের বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডঃ মোহাম্মদ আফজাল হোসেনের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডেপুটি এমডি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস আলি এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ। তাদের উপস্থিতি স্বাস্থ্যখাতে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার গুরুত্বকে আরও প্রমাণ করেছে।

অধ্যাপক ডঃ শামসুর রহমান বলেন, “এই উদার অনুদান সরাসরি রোগী সেবা উন্নত করবে এবং ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণকে আরও কার্যকর করে তুলবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালী করতে অপরিহার্য।”

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এই উদার উদ্যোগ প্রমাণ করে যে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক কল্যাণে কার্যকরভাবে অবদান রাখতে পারে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংক শুধুমাত্র জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করছে না, বরং একটি দায়িত্বশীল ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ সংস্থার রূপও প্রতিষ্ঠা করছে। এই ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতের চিকিৎসা পেশাজীবীদের গঠন এবং দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।