নানা সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখে অবশেষে জুয়ার ওয়েবসাইটে জড়িত থাকার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল সাদিয়া জাহান প্রভা। ফেসবুকে প্রকাশিত প্রায় ১৫ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জানান—তিনি এক মুহূর্তও জেনে–বুঝে কোনো বেটিং বা জুয়া প্ল্যাটফর্মের প্রচারণা করেননি; বরং অস্পষ্ট তথ্য ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যার মাধ্যমে তাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্রভা বলেন, রমজান মাসে একটি প্রতিষ্ঠান তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের কথায় বোঝানো হয়—এটি একটি বৈধ “গেমিং ওয়েবসাইট”, যেখানে টি–২০ ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলা দেখানো হয়। অর্থাৎ একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম।
তিনি বলেন, “ওরা একবারও বলেনি এটি বেটিং সাইট। আমি গেমিং বিষয়েই জানি না, তাই সন্দেহ করিনি।”
চুক্তি সইয়ের দিন তাকে ভিডিও বাইট দিতে বলা হয়—যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ায়। কিন্তু ভিডিওটি প্রকাশের পর দর্শকরা মন্তব্য করতে শুরু করলে তিনি বুঝতে পারেন এটি একটি বেটিং প্ল্যাটফর্ম। সেই মুহূর্তে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আবার যোগাযোগ করেন এবং জানতে চান কেন সত্য গোপন করা হয়েছিল।
প্রভা আরও বলেন, যখন তিনি তাদের অভিযোগ করেন, তখন প্রতিষ্ঠানটি তাকে উল্টে জ্ঞান দিতে শুরু করে—
“তারা আমাকে বলল, ম্যাডাম আপনি তাহলে বেটিং ওয়েবসাইট কী তা জানেন না!”
প্রভা বলেন, “যদি জানতাম, তাহলে শুরুতেই করতাম কেন? আমি তো প্রথম দিন থেকেই জিজ্ঞেস করেছি—এটা কোনো জুয়া সাইট না তো?”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবহৃত বিভিন্ন নমুনা বিজ্ঞাপন ছিল প্রতারণামূলক। কিছু বিদেশি বিজ্ঞাপন দেখিয়ে বোঝানো হয়েছিল, বহু সেলিব্রেটি এ ধরনের প্রচারণায় অংশ নেন। অথচ পরে তিনি বুঝতে পারেন, সেগুলো ছিল বিদেশি জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন।
তাঁর কথায়,
“আমাকে এমনভাবে কনভিন্স করা হচ্ছিল যেন এটা খুব সাধারণ, বৈধ একটা কাজ। কিন্তু পরে যখন সত্যটা জানলাম, সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি।”
প্রভা জানান, শুধু বিভ্রান্ত করা হয়নি—প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে তাকে ভয় দেখানোরও চেষ্টা করে। তখনই তিনি আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিষয়টি থামানোর উদ্যোগ নেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন—তার দেওয়া ছোট ভিডিও বাইট সম্পাদনা করে অন্য কোম্পানির নাম বসিয়ে প্রচার করা হয়েছে।
“আমি যা বলেছি, তার সঙ্গে লিপসিং মিলছে না। এটা প্রমাণ করে আমাকে ব্যবহার করা হয়েছে,”—বলেন প্রভা।
প্রভা জোর দিয়ে বলেন,
“আমি কখনো কোনো জুয়ার প্রমোশন করিনি—এবং করবও না। আমাকে লাখ টাকা দিলেও আমি অবৈধ কাজ করব না।”
অবশেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ জানান—
“আমার বক্তব্যটা যেন বিকৃত না হয়। আমি বিভ্রান্ত হয়েছিলাম, কিন্তু সময়মতো প্রতারণাটা বুঝে থেমে গেছি।
