জাপানে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ১৪ জন আহত

জাপানের মধ্যাঞ্চলে শুক্রবার বিকেলে একটি ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জনকে অবিলম্বে অ্যাম্বুল্যান্সের মাধ্যমে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় জরুরি সেবা কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, একই সময়ে ঘটনাস্থলে একটি অজ্ঞাত তরলও ছিটানো হয়েছিল।

শিজুওকা অঞ্চলের মিশিমা শহরের দমকল বিভাগের কর্মকর্তা তোমোহারু সুগিয়ামা এএফপিকেকে জানিয়েছেন, “স্থানীয় একটি রাবার কারখানার থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ফোন আসে, যেখানে পাঁচ বা ছয়জনকে কেউ ছুরিকাঘাত করেছে এবং সেখানে ‘স্প্রে-জাতীয় তরল’ ব্যবহার করা হয়েছে।”

স্থানীয় পুলিশ নিহতের চেষ্টা হিসেবে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। দৈনিক আসাহি শিম্বুন সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ত্রিশের কোঠার এবং কারখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। পুলিশ জানায়, তিনি গ্যাসমাস্ক সদৃশ মুখোশ পরেছিল এবং তার কাছে একটি সারভাইভাল নাইফের মতো ছুরি ছিল। এনএইচকে জানায়, তার বয়স ৩৮ বছর।

আহতদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও তাদের সবাই সচেতন অবস্থায় রয়েছেন। আহতদের সংখ্যানুসারে এবং তাদের হাসপাতালে স্থানান্তরের তথ্য নিচের টেবিলে দেওয়া হলো:

আহতদের সংখ্যাহাসপাতালে স্থানান্তরিতঅবস্থা
১৪ জন৬ জনসচেতন, চিকিৎসাধীন
অবশিষ্টনিজ উদ্যোগেহাসপাতালে ভর্তি বা পর্যবেক্ষণে

ঘটনাস্থলটি মিশিমা শহরের ইয়োকোহামা রাবার কোম্পানি, যা ট্রাক ও বাসের টায়ার উৎপাদন করে।

জাপান সাধারণত সহিংস অপরাধের জন্য পরিচিত নয়। দেশটিতে খুনের হার তুলনামূলক কম এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের আইন কঠোর। তবে মাঝে মাঝে ছুরিকাঘাত এবং গুলির ঘটনা ঘটে। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে ২০২২ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যাকাণ্ড, এবং ২০২৩ সালে দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা রয়েছে। একই বছরের মে মাসে টোকিওর তোদা-মায়ে মেট্রো স্টেশনে এক ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৪৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

সুগিয়ামা আরও জানান, আহতদের আঘাতের প্রকৃতি নিরূপণ করা এখনও চলমান, এবং ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত অব্যাহত আছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে এবং আরও কোনো সম্ভাব্য আক্রমণ রোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে।