রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ভবনে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। রাত পৌনে দুইটার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি ভবনের মধ্যে প্রবেশ করে জিনিসপত্র ভাঙচুর এবং বাইরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় পুরো এলাকা আতঙ্কে ভরে যায়।
এই ঘটনার পেছনে প্রাথমিক সূত্র অনুযায়ী রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা জড়িত। এর আগে রাতের দিকে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শাহবাগে আন্দোলনরতদের একটি দল কাওরান বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। অন্য একটি দল বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে ধানমন্ডির দিকে এগোয়। তারা ছায়ানট ভবনের মধ্যে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং ভবনের জিনিসপত্র বাইরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার মুহূর্তে তারা চিৎকার করতে থাকলেও হামলাকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে এবং ভবনের আশেপাশে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
ছায়ানট ভবন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপন। এখানে বিভিন্ন নাটক, গান, কবিতা পাঠ এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই হামলা শুধুমাত্র একটি ভবনের ক্ষতি নয়, বরং দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি একটি আঘাত হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
সাংবাদিক এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের হঠাৎ আগুন এবং ভাঙচুরের ঘটনা দেশের স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক সংহতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিশেষ করে যখন এটি একটি শান্তিপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উপর ঘটেছে, তখন সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা বেড়ে যায়।