চট্টগ্রামে রাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী সংঘাতে ১৫ জন নিহত

চট্টগ্রামে গত ১৩ মাসে রাজনৈতিক বিরোধ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ঘটনায় ১০টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এই পরিস্থিতি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে।

নির্বাচনী জনসংযোগ চলাকালীন ঘটনাগুলো আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের চালিতাতলী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী ও পাঁচজন নির্বাচনী কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় সরোয়ার হোসেন নিহত হন। এছাড়া রাউজান ও মিরসরাই এলাকায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন। খুলশীতে ব্যানার টাঙানোর সময় যুবদলের এক কর্মীও নিহত হয়েছেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপর্যস্ত করতে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে এসব ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে। তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার আশ্বস্ত করেছেন, সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সীমিত কার্যক্রম এবং অপরাধীদের প্রকাশ্য হত্যা চালানোর কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চ্যালেঞ্জ আছে।

নির্বাচনী প্রস্তুতি ও জনসংযোগের ক্ষেত্রে এই ধরনের সহিংসতা রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা শক্তিশালী না হলে নির্বাচনী পরিবেশ নিরাপদ রাখা কঠিন হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিরাপদ ও সংহত নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে ভোটাররা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।

চট্টগ্রামে এই হত্যাকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী সংঘর্ষে নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় জনগণ শোকাহত। প্রশাসন এবং স্থানীয় পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।

টিএসএন