গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে ২৭ কেজি ওজন কমালেন মেগান

গ্র্যামি জেতা গায়িকা মেগান ট্রেইনর এবার শুধুই তাঁর গান নয়, বরং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও জীবনধারার অবিশ্বাস্য পরিবর্তনের জন্যও খবরের শিরোনামে। ‘অল অ্যাবাউট দ্যাট বেস’ এবং ‘ডিয়ার ফিউচার হাবান্ড’ মতো হিট গানের মাধ্যমে বিশ্বের দর্শককে মুগ্ধ করা মেগান এখন নিজের ব্যক্তিগত রূপান্তরের কারণে সমানভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। ৩২ বছর বয়সী এই পপ তারকা সম্প্রতি জানালেন যে, স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জিং সময় পার করার পর তিনি ৬০ পাউন্ড, প্রায় ২৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন—যা সত্যিই চমকপ্রদ।

মেগান প্রকাশ করেছেন, তার ফিটনেস যাত্রা শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes) ধরা পড়ার পর। তিনি বলেন, “আমি উপলব্ধি করেছি, যদি আমি পূর্ণ জীবন যাপন করতে চাই, ট্যুর চালিয়ে যেতে চাই এবং সন্তানদের সুস্থভাবে লালন করতে চাই, তাহলে প্রথমেই আমার নিজের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। আমি চাই শক্তিশালী হতে—শারীরিক ও মানসিকভাবে।”

তিনি দুই সন্তানের মা—রাইলি (৪ বছর) এবং ব্যারি (২ বছর)। স্বামী ড্যারিল সাবারা’র সঙ্গে মেলামেশা করে তিনি পরিবারিক দায়িত্ব পালন করেন এবং নিজের স্বাস্থ্য ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে সচেতন থাকেন। মেগান বলেন, “আমি আমার হরমোন ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন,” যা প্রমাণ করে তিনি ব্যস্ত জীবনেও স্বাস্থ্যবোধের প্রতি কতটা মনোযোগী।

ম্যাসাচুসেটসের ন্যানটাকেট এ ২২ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া মেগান ১১ বছর বয়সে গান লেখা শুরু করেন। মূলত তিনি নিজের গানগুলো উপস্থাপন করতেন এবং জনপ্রিয়তার আগে নিজেকে মূলত একজন গীতিকার হিসেবে বিবেচনা করতেন।

ওজন কমানোর পরেও মেগান সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি স্বীকার করেন, “নিজের পরিবর্তন প্রথমবার দেখাটা অবিশ্বাস্য ছিল, কিন্তু হঠাৎ অনেক নেতিবাচক মন্তব্য শুনে চমকে গিয়েছিলাম।” তিনি থেরাপি এবং নতুন গান ‘STOOL Don’t Care’-এর মাধ্যমে এই নেতিবাচকতার মোকাবিলা করেছেন, যা তার আত্ম-আবিষ্কার ও ধৈর্যের গল্প প্রতিফলিত করে।

গর্ভাবস্থার পর মেগান ও ড্যারিল স্বাস্থ্য ও ফিটনেসকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের নিয়ম মেনে চলছেন। সপ্তাহে তিনবার জিমে যাওয়া, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা এবং হজমজনিত কারণে কফি কমানো—সবই তার নিয়মানুবর্তী জীবনধারার অংশ।

মেগান বলেন, “এখন আমি সত্যিই অসাধারণ অনুভব করছি। আমি নিজেকে ভালোবাসতে শিখেছি, আর এটা বলতে কোনো লজ্জা নেই।” তার আন্তরিকতা, নিয়মানুবর্তিতা এবং আত্ম-প্রেম বিশ্বব্যাপী ভক্তদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।