কুমিল্লার হোমনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ২ পিস্তল ও গুলিসহ যুবক আটক

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে দুটি পিস্তল ও ১৪ রাউন্ড গুলিসহ সোহাগ (৩২) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। অভিযানটি পরিচালিত হয় বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার মাথাভাঙা এলাকায়।

আটক সোহাগ মাথাভাঙা এলাকার তারু মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতেন। এই অভিযানের মাধ্যমে এলাকার মানুষ স্বস্তি পেয়েছে।

সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী ভোরে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় অস্ত্রধারী সোহাগকে স্থানীয় বনাঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে দুটি পিস্তল এবং ১৪ রাউন্ড গুলি (অ্যামুনিশন) উদ্ধার করা হয়। পরে সোহাগ এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র হোমনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের অভিযান দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাস দমন এবং মাদক নির্মূলের উদ্দেশ্যে নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযান সংক্রান্ত তথ্য (সারসংক্ষেপ)

বিষয়তথ্য
অভিযান স্থানহোমনা উপজেলা, মাথাভাঙা এলাকা
অভিযান তারিখ ও সময়২৫ ডিসেম্বর, ভোর ৬টা
আটক ব্যক্তিসোহাগ (৩২), তারু মিয়ার ছেলে
উদ্ধারকৃত অস্ত্র২টি পিস্তল
উদ্ধারকৃত গুলি১৪ রাউন্ড (অ্যামুনিশন)
হস্তান্তরহোমনা থানা পুলিশ
অভিযানের নেতৃত্বকুমিল্লা ৩৩ পদাতিক ডিভিশন (সেনাবাহিনী)

স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে সোহাগের উপস্থিতি এলাকায় আতঙ্কের কারণ ছিল। তিনি ও তার সহযোগীরা নিয়মিত এলাকায় অস্ত্র প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব তৈরি করতেন। এই অভিযান স্থানীয়দের মনে স্বস্তি সৃষ্টি করেছে এবং তারা আশা করছেন, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের মতো যৌথবাহিনীর অভিযান দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে প্রান্তিক ও উপজেলা অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমাতে এই ধরনের অভিযানের ধারাবাহিকতা অপরিহার্য।

সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযান শুধু অস্ত্র উদ্ধার বা সন্ত্রাস দমনেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি স্থানীয় মানুষের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ সামাজিক পরিবেশ গঠনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।

এই অভিযানের মাধ্যমে হোমনার মাথাভাঙা এলাকা এবং আশপাশের অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।