বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।
(২৭ অক্টোবর) সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নতুন এই নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশনা জারি করেছে।
মাউশির সহকারী পরিচালক (বেসরকারি কলেজ) মো. মাঈন উদ্দিনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক ব্যতীত অন্যান্য এমপিওভুক্ত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের স্বাক্ষরে জারি করা এক পরিপত্রে শিক্ষক ছাড়া অন্যান্য পদে নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ সুপারিশ কমিটি গঠনের নিয়মাবলি প্রকাশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক। সদস্য হিসেবে থাকবেন জেলার সবচেয়ে পুরোনো সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বা তার প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের একজন প্রতিনিধি এবং জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বা সহকারী পরিচালক। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
এই নিয়োগ সুপারিশ কমিটি লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রস্তুত ও নিয়োগের সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্বে থাকবে। প্রয়োজনে কমিটি মৌখিক পরীক্ষার সময় একাধিক বোর্ডও গঠন করতে পারবে। প্রতিটি বোর্ডে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির নেতৃত্বে তিনজন সদস্য থাকবেন, যাদের কেউই নবম গ্রেডের নিচে হবেন না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, নতুন নীতিমালার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির একচেটিয়া ক্ষমতা আর থাকবে না। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত এই নিয়োগ সুপারিশ কমিটি বেসরকারি স্কুল ও কলেজে কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
