ইসরাইলের সেনাবাহিনীতে পদত্যাগের হিড়িক প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। প্রায় ৬০০ কর্মকর্তা ও নন-কমিশন্ড অফিসার পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগের পেছনে প্রধান কারণ হলো ‘চিফ অব স্টাফ ইনক্রিজ’ আর্থিক সুবিধার স্থগিতকরণ। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী সেনাদের মধ্যে বিদ্যমান আস্থার ভিত্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
ইসরাইল হায়োমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ পদত্যাগকারী সেনাদের বয়স ৪২ বছরের উপরে। তারা মাসশেষের আগে পদত্যাগ করতে চান, কারণ এরপর আর্থিক সুবিধা স্থগিত হওয়ার ফলে তাদের কোনও নিরাপত্তা অবশিষ্ট থাকবে না। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৩ সালের জুনে অর্থ ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা হওয়া সত্ত্বেও, নেসেটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে বিষয়টি আটকে রয়েছে। এমকে আমিত হালেভির আপত্তি এই দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতার মূল কারণ। সেনাদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে যে, সরকার তাদের আর্থিক স্বার্থের প্রতি অবহেলা করছে।
গাজায় চলমান যুদ্ধের সময় সেনাদের কমতি সামলাতে সামরিক নেতৃত্ব এ বিষয়ে প্রথমে নীরব থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু আদালতের সময়সীমা ঘনিয়ে আসার কারণে আইওএফ এখন দ্রুত আইনগত সমাধানের জন্য তৎপর হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পদত্যাগের এই রাশ সাময়িক হলেও সামরিক কর্মকৌশল ও যুদ্ধ প্রস্তুতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীর কার্যক্ষমতা এবং মানসিকতার উপর এই পদত্যাগের প্রভাব মূল্যায়ন করতে একটি বৈঠক ডাকতে পারেন। সেখানে পদত্যাগকারীদের পুনরায় আনতে বা নতুন সমঝোতার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পথ খুঁজে বের করা হবে।