বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেছে বিশ্ব ব্যাংক

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেছে বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাতকালে তিনি এই প্রশংসা ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেছে বিশ্ব ব্যাংক

 

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেছে বিশ্ব ব্যাংক
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং এর তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন দেখে অভিভূত হয়েছেন

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং এর তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন দেখে অভিভূত হয়েছেন। কুমিল্লার একটি গ্রামের উদাহরণ তুলে ধরে টেম্বন বলেন, তিনি ছোট ছোট বাড়ি দেখে খুশি হয়েছেন যেখানে প্রতিটি পরিবার তাদের বাড়ির চত্বরে গাছ লাগিয়েছে এবং সবজি চাষ করছে। তিনি তাঁর আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান।  এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় দেওয়া বাড়ির মালিক স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এবং তারা তাদের বাড়ির জমি সবজি চাষে ব্যবহার করছেন।

টেম্বন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন কৃষকদের সাহায্য করার জন্য শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য লোকেরা ধান কাটার কাজে নিজেদের জড়িত করেছে দেখে তিনি খুবই খুশী হয়েছেন।  প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থেকে এ কাজ করেছে। নারী উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কাজটি এত সহজ ছিল না এবং এ জন্য তাঁর সরকারকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে নারী উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরো বলেন, নারীর অগ্রগতির বাধা দূর করায় খেলাধুলা ও কর্মসংস্থানসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতার হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি বিশ্ব ডায়াবেটিক ফেডারেশন কংগ্রেসে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। আগামী ডিসেম্বরে পর্তুগালে এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডায়াবেটিসের প্রথম গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করা হবে। শেখ হাসিনা সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে এই উপাধিতে ভূষিত করায় বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশনের গভর্নিং বডিকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর জোর দেন। বিশ্ব ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে তাদের কার্যক্রমের কথা জানান। জাতীয় অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেছে বিশ্ব ব্যাংক
আগামী ডিসেম্বরে পর্তুগালে এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডায়াবেটিসের প্রথম গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment