আবু হেনা | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

আবু হেনা একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়নে রাজশাহী-৩ (পবা ও মোহনপুর) আসন থেকে পরপর দুবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।

আবু হেনা | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

 

আবু হেনা | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

 

কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন

আবু-হেনা কর্মজীবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালকসহ সরকারি বিভিন্ন পদে চাকুরি করেন এবং ১ অক্টোবর ১৯৯৪ সাল থেকে ৩১ মে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চাকুরিজীবন শেষ করে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

প্রাথমিকভাবে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচন করতে চাইলেও ব্যর্থ হয়ে ১২ জুন ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে রাজশাহী-৩ (পবা ও মোহনপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৫ সালে নিজ দলের সমালোচনা করে তিনি আলোচনায় আসেন এবং তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি তথাকথিত সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত হন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে বিএনপি তাকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে এনে রাজশাহী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন প্রদান করে।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল:

বাংলাদেশ-জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠা

বাংলাদেশ-জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান

 

আবু হেনা | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ-জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ-জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল। ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment