নভেম্বরের ৪ তারিখটি ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হলো। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছিল, কিন্তু সবার নজর ছিল নিউইয়র্কে জোহরান মামদানির দিকে। তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মুসলিম অভিবাসী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। মামদানির জয় শুধু নিউইয়র্কের জন্য নয়, পুরো দেশব্যাপী এক মানবিক ও সাংস্কৃতিক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মামদানির প্রধান লক্ষ্য হবে সাধারণ মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। তিনি সাশ্রয়ী ভাড়া, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, এবং সাশ্রয়ী গণপরিবহন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া ধনীদের ওপর ট্যাক্স মাত্র দুই শতাংশ বৃদ্ধি করে কম আয়ের জনগোষ্ঠীর সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তিনি জানান, “এই শহর অভিবাসীদের জন্য গড়া, অভিবাসীদের জন্য।” তার এই নীতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ ও সাশ্রয়ী করার দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট পাশ করেছিলেন। তবে বর্তমান সময়ে ট্যাক্স কমানোর চেষ্টা এবং SNAP প্রোগ্রামের স্থগিত থাকা নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য খাদ্য সরবরাহে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে মামদানির নীতি সামাজিক নিরাপত্তা ও মানবিক নেতৃত্বের গুরুত্ব পুনরায় প্রমাণ করছে।
নভেম্বর ৪ তারিখে আরও ইতিহাস গড়া হয়েছে। ভার্জিনিয়ায় অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন। একই পার্টি থেকে জে জোনস অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হয়েছেন। নিউজার্সিতে নিকি শেরিল গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার প্রপ ৫০ পাশ হয়েছে ৬৪ শতাংশ ভোটে।
এই নির্বাচনের ফলাফল মানবিক নেতৃত্ব, সমাজের অন্তর্ভুক্তি ও ন্যায়পরায়ণ নীতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আবারও প্রমাণ করেছে। নির্বাচিত নেতারা জনগণের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারবেন।
টিএসএন
