‘অবস্থা সামান্যই ভালো হলেই লন্ডন’—খালেদা জিয়াকে নিয়ে পরিবারের বড় সিদ্ধান্ত ফাঁস

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে পরিবার ইতোমধ্যে বিদেশযাত্রার প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন। শনিবার তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, সক্রিয় সমন্বয়ে কাজ করছেন লন্ডনে থাকা তারেক রহমান, তার স্ত্রী ও ডা. জুবাইদা রহমান।

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বহুমাত্রিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা একযোগে চিকিৎসা দিচ্ছেন। চিকিৎসা বোর্ডের অন্যতম সদস্য ডা. জুবাইদা চিকিৎসায় প্রতিটি ধাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছেন।

হাসপাতালে খোঁজ নেওয়া মানুষের ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে, তবে ইনফেকশনের ঝুঁকিতে কাউকে সিসিইউতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। তবু মানুষ দূর থেকেই উদ্বেগ ও ভালোবাসা প্রকাশ করে যাচ্ছেন।

তিনি লিখেছেন যে, লন্ডনের সেই হাসপাতালের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে চলতি বছরের শুরুতে খালেদা জিয়া দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা নিয়েছিলেন এবং উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছিল। একইসঙ্গে উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুতের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

দেশের মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মাহদী আমিন।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে তাঁর পরিবার ইতোমধ্যেই বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন। শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানান। তার বক্তব্য অনুযায়ী, পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো প্রাথমিক প্রস্তুতির পর্যায়ে থাকলেও প্রয়োজনীয় সমন্বয় জোরেশোরে এগিয়ে চলছে।

মাহদী আমিন লিখেছেন, লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমান সক্রিয়ভাবে এই চিকিৎসা-সমন্বয় কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। পরিবার ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে, যাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সর্বোচ্চ মানে নিশ্চিত করা যায়।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বহুমাত্রিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। দেশীয় চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও চিকিৎসা পরিকল্পনায় যুক্ত রয়েছেন। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড নিয়মিত তাঁর শারীরিক অবস্থার মূল্যায়ন করছে। এই বোর্ডের অন্যতম সদস্য ডা. জুবাইদা রহমান প্রতিটি ধাপের চিকিৎসা সিদ্ধান্তে যুক্ত থেকে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছেন।

হাসপাতালে প্রতিদিনই খোঁজখবর নিতে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন মাহদী আমিন। তবে সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় কাউকেই সিসিইউতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা দূর থেকেই তাঁদের উদ্বেগ, ভালোবাসা ও দোয়া প্রকাশ করছেন।

তিনি আরও জানান, লন্ডনের যে হাসপাতালটিতে চলতি বছরের শুরুতে খালেদা জিয়া প্রায় চার মাস চিকিৎসা নিয়েছিলেন, সেই হাসপাতালের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ওই চিকিৎসাকালেই তাঁর শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি, উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামসমৃদ্ধ একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুতের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে তাঁকে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে বিদেশে নেওয়া যায়।